মুফতি খালিদ কাসেমি
অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া, তাকে সান্ত্বনা দেওয়া এবং সহানুভূতি প্রকাশ করা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আমল ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। হাদিসে এই কাজকে মুমিনের অন্যতম কর্তব্য আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘এক মুসলিমের প্রতি অন্য মুসলিমের কর্তব্য পাঁচটি। এক. সালামের উত্তর দেওয়া। দুই. অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া। তিন. জানাজায় অংশ নেওয়া। চার. দাওয়াত গ্রহণ করা। পাঁচ. কেউ হাঁচি দিলে তার উত্তর দেওয়া।’ (বুখারি)
হাদিস শরিফে অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়ার অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে মুসলিম সকালে কোনো অসুস্থ মুসলিমকে দেখতে যায়, তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেশতা দোয়া করতে থাকে। যদি সে সন্ধ্যায় দেখতে যায়, তবে তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত দোয়া করতে থাকে এবং তার জন্য জান্নাতে একটি বাগান তৈরি হয়।’ (তিরমিজি)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘কোনো মুসলিম যখন তার অসুস্থ কোনো মুসলিম ভাইকে দেখার জন্য যায়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে।’ (মিশকাত)
আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যায় অথবা নিজের ভাইয়ের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে যায়, একজন ঘোষক (ফেরেশতা) তাকে ডেকে বলতে থাকেন, কল্যাণময় তোমার জীবন এবং তোমার এই পথ চলাও কল্যাণময়। তুমি তো জান্নাতের মধ্যে একটি বাসস্থান নির্দিষ্ট করে নিলে।’ (তিরমিজি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
Leave a Reply